কমলগঞ্জে বিষপানে নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউপির সোনাপুর গ্রামে রোববার রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন পারুল বেগম নামে বিদেশফেরত এক নারী। বড় ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে ভাইয়ের বাড়ির দরজার সামনে ওই নারী বিষপান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মৃত পারুল বেগম সোনাপুর গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে। তার ১২ বছরের এক ছেলে রয়েছে। তার স্বামীর নাম জোনাব আলী। দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের পর ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে পারুল বেগম গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যান।

পারুল বেগম ২০১৭ সালে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরব যান। সম্প্রতি মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি দেশে ফেরেন। প্রবাসে থাকার সময় পারুল বেগম তার উপার্জনের টাকা বড় ভাই বাছিত মিয়ার কাছে পাঠাতেন। দেশে ফেরার পর ভাইয়ের কাছে টাকা ফেরত চান পারুল।

স্বজনেরা জানান, ঈদে কেনাকাটার জন্য ভাইয়ের কাছে টাকা চেয়ে পাননি পারুল। এ অভিমানে ঈদের পরদিন রাতে ভাইয়ের বসতঘরের দরজার সামনে বিষপান করেন। পারুলকে উদ্ধার করে রাতেই কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে পারুলের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পারুল বেগমের এক আত্মীয় বলেন, বড় ভাই বাছিত আত্মসাৎ করেছেন পারুলের টাকা। টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তার ওপর নির্যাতন করা হতো। ভাইয়ের এমন আচরণে অভিমানে পারুল আত্মহত্যা করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পারুলের বড় ভাই বাছিত মিয়া বলেন, পারুল বিষপানে আত্মহত্যা করেছে, এটা সত্য। তবে তার টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। পারুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।

কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, পারুলের মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তদন্ত করা হবে। তার মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।