নাটক বানানোর ছলে শিশুকে হত্যা করল দশম শ্রেণির ছাত্র

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: সৌদি আরব প্রবাসী ফারুক মিয়া আদরের সন্তান ইসমাইল হোসেনকে শখ করে একটি দামি মোবাইল দিয়েছেন। কিন্তু এ মোবাইলই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিশু ইসমাইলের। প্রতিবেশী শাহরিয়ার হোসেন ওরপে সাইমন তাকে হত্যা করে।

বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ হত্যার কথা স্বীকার করে সাইমন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সাইমন সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কদর আলীর ছেলে। সে হবিগঞ্জ শহরের জেকে অ্যান্ড এইচকে হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার রাতে এসপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডিশনাল এসপি রবিউল ইসলাম বলেন, দুই মাস আগে ইসমাইলের জন্য ২০-২২ হাজার টাকার একটি লেনোভো কোম্পানির স্মার্টফোন পাঠান তার বাবা। মোবাইল পেয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও করে সবাইকে দেখানোর মাঝেই ছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ইসমাইলের আনন্দ। কিন্তু মোবাইলটির প্রতি লোভ হয় সাইমনের। ছবি তোলার নেশাকে কাজে লাগিয়ে ১০ জানুয়ারি বিকেলে ইসামাইলকে একটি নাটক বানানোর প্রস্তাব দেয় সে।

এসপি রবিউল বলেন, ইসমাইল ওই প্রস্তাবে রাজি হয়। পরে তাকে নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকায় এসে একটি অটোরিকশায় করে বৈদ্যার বাজার এলাকায় যায় সাইমন। সেখান থেকে হেঁটে খোয়াই নদীর পাড় দিয়ে চরহামুয়া এলাকায় যায়। এ সময় তারা অনেকগুলো ছবি তোলে। সন্ধ্যা হলে খোয়াই নদীর চরে গিয়ে নাটকের কথা বলে ইসমাইলের হাত-পা বেঁধে ফেলে সে। নাটক মনে করে ইসমাইলও কোনো বাধা দেয়নি। একপর্যায়ে মুগুর দিয়ে তার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ নদীতে ফেলে মোবাইল নিয়ে বাড়িতে আসে সাইমন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের চাচা টেনু মিয়া। এর আগে সোমবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।