শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতি, তদন্তে দুদক

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯

ধলাই ডেস্ক: হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুদক।

মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল কলেজ ক্যাম্পাসে এ অভিযান চালান।

এ সময় তারা ২০১৭-১৮ সালে দরপত্রের মাধ্যমে কেনা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া প্রতিটি জিনিসের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

এর আগে ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জে ধরা পড়লো আরেক বালিশকান্ড শিরোনামে ডেইলি বাংলাদেশে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে এসব আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া সংবাদ প্রকাশের পর হবিগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

অভিযানের সময় কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ান, দরপত্র প্রস্তাব ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. নাসিমা খানম ইভাবে পায়নি দুদক। এ সময় মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোলায়মান মিয়া, প্রভাষক ডা. রোজিনা রহমানকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়া বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে আসা হয়েছে। কেনা মালামালের দর সম্পর্কে বাজারে যাচাই করা হবে। পরবর্তীতে দুর্নীতির প্রমাণ ও কমিশনের অনুমতি পেলে বিস্তারিত তদন্ত করবে দুদক। এটা প্রথম পদক্ষেপ। এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।

এদিকে সোমবার এ টেন্ডারের অনিয়ম নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব (নির্মাণ ও মেরামত অধিশাখা) মো. আজম খানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র বাজার দরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বছরে এ ধরনের অভিযোগকে কলেজটির এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ