৩ বছর বয়সেই শুভেচ্ছা দূত হচ্ছে আইজেল

প্রকাশিত: ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: জীবনে অনেক রকমের চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। জ্ঞান-বুদ্ধি হওয়ার পর সে যুদ্ধ আরও কঠিন আকার ধারণ করে। অথচ কেবল হাঁটতে শিখেছে মেয়েটি। বয়স মাত্র ৩ বছর। আর এ বয়সেই রীতিমত রেকর্ড করে ফেলেছে শিশুটি। শুধু তা-ই নয়, একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের শুভেচ্ছা দূতও হতে যাচ্ছে সে। বলছিলাম ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শিশুকন্যা আইজেল মাসুদির কথা।

জানা যায়, ৩ বছর বয়সে শিশুরা শক্তভাবে পা ফেলতে পারে না মাটিতে। বেশিরভাগই টলমল পায়ে হাঁটতে শেখে। হাঁটতে গিয়ে হোচট খায়। কিন্তু আইজেল মাসুদি যেন ভিন্ন। কী মসৃণভাবেই সে চড়াই-উৎরাই পার হয়। জম্মু-কাশ্মিরের সোপোরের এ খুদে বাসিন্দা লাঠি নিয়ে বাবার সঙ্গে দিনে কয়েকবার পাহাড়ে ওঠানামা করে। এতে তার একটুও ক্লান্তি নেই।

প্রতিদিনই এভাবে পাহাড় ডিঙায় আইজেল। মেয়ের পথচলা দেখে অবাক হয়ে যান বাবাও। পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে মেয়ের এমন চলা দেখে গর্ব বোধ করেন তিনি। দেখতে দেখতে জম্মু-কাশ্মিরের ছোট মেয়েটি জায়গা করে নিয়েছে ভারতের রেকর্ড বুকে। এ মুহূর্তে সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ হাইকার। তাকে স্বীকৃতি দিতে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনার। অনুষ্ঠানে তার হাতে একটি সনদও তুলে দেওয়া হয়।

আইজেলের পরিবারসূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশবিদদের সংগঠনের দৃষ্টিতে আসে আইজেল। তাদের বিচারেই আইজেল সবচেয়ে ছোট হাইকারের উপাধি পেয়েছে। এই পরিবেশবাদী সংগঠন ওর হাতে তুলে দিয়েছে দেশের কনিষ্ঠতম হাইকারের সনদ। তাকে পরিবেশ সচেতনতায় সর্বকনিষ্ঠ শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথাও ভাবছে সংগঠনটি।

সংগঠনের কর্মকর্তা বিল্লাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এ এলাকায় পরিবেশ নিয়ে সপ্তাহব্যাপী সচেতনতা শিবির করেছি। সে সময়ই আমাদের নজরে এসেছে মেয়েটি। আইজেল মাসুদিই এদেশের সবচেয়ে খুদে হাইকার। সে প্রতিদিন বাবার সঙ্গে লাঠি নিয়ে পাহাড়ের চড়াই-উৎরাই পার হয়।’