লিটনের ঝড়ো ফিফটি, ১৮ ওভারেই জিতলো রাজশাহী

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

খেলা ডেস্ক: চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১৪৬ রানের লক্ষ্যটা মোটেই কঠিন ছিল না। এর মধ্যে লিটন দাস আর আফিফ হোসেনই উদ্বোধনী জুটিতে তুলে দিলেন ৭৫ রান। তারপর আর জয় তুলে নিতে তেমন কষ্ট হয়নি রাজশাহী রয়্যালসের। ২ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দল।

এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে ওঠে এসেছে রাজশাহী। আর মুশফিকের খুলনা টাইগার্স টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর হারলো টানা দুই ম্যাচে।

রান তাড়ায় নেমে লিটন-আফিফের ৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙে ভুল বোঝাবুঝিতে। ১৮ বলে ২২ রান করে রানআউট হন আফিফ। তবে লিটন তাতে থেমে যাননি। দারুণ সব শটে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।

এরপর শোয়েব মালিক খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৬ করেই সাজঘরের পথ ধরেন। তবে বাকি কাজটা খুব সহজেই সেরেছেন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। সঙ্গী ছিলেন রবি বোপারা। রাসেল ১৯ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮ বলে ১৩ করেন বোপারা।

এর আগে ২৯ রানের মধ্যে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রীতিমত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল খুলনা টাইগার্স। সেখান থেকে দলকে তুলেন শামসুর রহমান শুভ। তার দায়িত্বশীল এক হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে খুলনা।

টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আন্দ্রে রাসেল। রাজশাহী অধিনায়কই প্রথম ওভারে বল হাতে নেন। আর ওই ওভারেই রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৪) আর প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে (০) সাজঘরের পথ দেখান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

কামরুল ইসলাম রাব্বির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে আবারও জোড়া ধাক্কা খায় খুলনা। এবার টানা দুই বলে আউট দলের ব্যাটিং ভরসা অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম (১) আর নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। খুলনা তখন রীতিমত চোখে সর্ষে ফুল দেখছিল।

চতুর্থ উইকেটে রাইলি রুশোকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন শামসুর। ২৪ বলে ৩৫ রান করা রুশোকে ফেরান আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬০ রানে তখন ৫ উইকেট হারিয়েছে খুলনা।

ষষ্ঠ উইকেটে রবি ফ্রাইলিংককে সঙ্গে নিয়ে দলকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন শামসুর। এই উইকেটে তারা যোগ করেন ৬৭ রান। ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৫ রান করা শামসুর শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন রাসেলকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। আফিফ হোসেন অতিমানবীয় এক ক্যাচ না ধরলে সেটি ছক্কা হয়েই যেতো।

এরপর ২৬ বলে ৩১ রান করে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে আউট হন দলের লড়াকু পুঁজিতে অবদান রাখা রবি ফ্রাইলিংক। ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে থামে খুলনার ইনিংস।

রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচায় তিনি নেন ৪টি উইকেট।