আব্দুর রাজ্জাক রাজা: আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছি। তাই আমাদের দেশের সক্ষমতা ও বেড়েছে। যে কারনে আমাদের দেশকে এখন বিশ্বের উন্নত দেশ সমুহ সমীহ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আমরা নিজেদের অর্থায়ানে পদ্মা সেতু করেছি। যাহা ইতিমধ্যে জন সাধারণের জন্য উন্মক্ত করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি আমরা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল সহ আরো কয়েকটি মেগা প্রকল্প চালু করা হবে। আরো কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়নে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমাদের হতাশ না হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজনের জন্য সুন্দর ও সক্ষম রাষ্ট্র বিনির্মান হওয়াই শ্রেয়। আমরাও তুলনামূলকভাবে এখন পর্যন্ত তুলনা মুলক ভাবে ভালো আছি। তবে বৈশ্বিক উত্তেজনার কারনে বিশ্বে অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশও সার্বিক বিচারে অর্থনৈতিক অবস্থায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
এজন্যই বলছি-দাম বেড়েছে, কষ্টও বেড়েছে, এটা যেন সাময়িকই হয়। কিন্তু আমরা সুশাসন চাই। রাজনীতি থেকে শুরু করে সরকারের সর্বকাজে সুশাসন চাই। ব্যবসায়িদের কাছে চাই অতি মুনাফা বা মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধি করার মানষিকতার পরিবর্তন। নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে মানুষের ভোগ কমছে, কমাতে মানুষ বাধ্য হচ্ছে। নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কতিপয় অসাধূ ব্যবসায়ি অতিরিক্ত মুনাফার জন্য নিত্য পণ্যে অবৈধ মজুত করে সেই পণ্যের মূল্য আরো বাড়িয়ে দেয়। এই বাড়ানোটাই আমাদের কষ্টের মাত্রটা বাড়িয়ে দেয়। মূল্যবৃদ্ধি কি শুধু এখন হয়েছে ? আগেও তো হয়েছে-মনে নেই ? তবে তা মাত্রাতিরিক্ত নয়,বা এক সাথে সকল পণ্যের মূল্য এতোটা বাড়েনি। যা কারনে মানুষের কণ্টের মাত্রা কম হয়েছে। এখনতো বাজারে এমন কোন পণ্য নেই যে তার মূল্য বাড়েনি। যেমন,চাল, ডাল, চিনি থেকে শুরু করে জ্বালানি তেল, ডিম থেকে শুরু করে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, আটা থেকে শুরু করে মাছ,মাংস,বাস ভাড়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশা,লঞ্চ ভাড়া-সবই বেড়েছে। বাড়েনি কোনটি ? বাড়েনি শুধু মানুষের জীবনের মূল্য। আমরা অবশ্যই স্বীকার করি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে, গরিবের কষ্ট সব সময় অনেক বেশি।
দেশটা আমাদের, এখানে কিনা সম্ভব ! তাই দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। যার জন্য কষ্ট করতে হবে। তবে সেই কষ্ট যেন হয় সহনীয় মাত্রায়। আমরা যারা অভ্যস্ত তাদের কোনো কষ্ট নেই। কিন্তু আরও গরিবদের প্রকৃতই কষ্ট হচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, এটি সাময়িক। সরকারের উদ্যোগে টিসিবির ও ওএমএসে মাধ্যমে সঠিক ভাবে বাজার তদারকির মাধ্যমে বিক্রি করা হলে অতি দরিদ্রদের কষ্ট কিছুটা হলে ও লাঘব হবে বলে মনে করি।
লেখক: আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক।